একটি কম্পিউটার মূলত নিম্নোক্ত হার্ডওয়্যার দ্বারা গঠিত হয়,
১* প্রসেসর
২* মাদারবোর্ড
৩* র্যাম (RAM)
৪* হার্ডডিস্ক
৫* অপটিকাল ড্রাইভ
৬* গ্রাফিক্স কার্ড
৭* মনিটর
৮* পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট
৯* ক্যাসিং
১০* মাউস/কি-বোর্ড
২* মাদারবোর্ড
৩* র্যাম (RAM)
৪* হার্ডডিস্ক
৫* অপটিকাল ড্রাইভ
৬* গ্রাফিক্স কার্ড
৭* মনিটর
৮* পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট
৯* ক্যাসিং
১০* মাউস/কি-বোর্ড
মূলত প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটার এর প্রান, এর মূল চালিকাশক্তি। প্রসেসর
মূলত দুইটি কোম্পানি তৈরি করে। ইন্টেল ও এএমডি। আমাদের দেশে মূলত ইন্টেল
সবচে বেশি ব্যাবহার হয়। তবে ইউরোপে এএমডির বাজার বেশি। এই দুটি ছাড়াও
Apple, NVidia, IBM কোম্পানি প্রসেসর তৈরি করে তবে তা তাদের ট্যাবলেট পিসির
জন্য।
ক্লক স্পিড
- সিপিউ প্রতি সেকেন্ডে কতগুলো ক্যালকুলেশন করতে পারে তা মাপার জন্য ক্লক স্পিড ব্যাবহার করা হয়। তাই ত ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, প্রসেসর এর কাজ করার ক্ষমতা তত বেশি হবে। প্রসেসর এর ক্লক স্পিড গিগাহার্টজ এককে মাপা হয়।
ইন্টারফেস
প্রসেসরকে
মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত করার সিস্টেম কে ইন্টারফেস বলে। প্রসেসরকে
মাদারবোর্ডের সাথে সকেটের দ্বারা যুক্ত করা হয়। আর এক এক প্রসেসর এর জন্য
এক এক রকম সকেট। যেমন ইন্টেল এর সকেট গুলা হচ্ছে LGA775 যা ইন্টেল Pentium
2, 3, 4, Dual Core, Core 2 Duo, Core 2 Quad, Core 2 Extreme প্রসেসর এর
জন্য। LGA1156 হচ্ছে Core i3, i5, i7 এর জন্য। 2nd Generation Intel Core
i3, i5, i7 LGA1155 সকেট সাপোর্ট করে। Core i7 এর জন্য LGA1366 নামে আলাদা
আরও একটি সকেট আছে।
এএমডি এর জন্য Sempron, Athlon, Athlon64, Phenom
এর জন্য AM2 ও Athlon 2, Phenom 2 এর জন্য AM3 সকেট ব্যাবহার করা হয়।
আপকামিং BULLDOZER এর জন্য AM3+ সকেট ব্যাবহার করা হবে। বর্তমানে BULLDOZER
হচ্ছে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী প্রসেসর।
কোর
বর্তমানে কেও সিঙ্গেল কোর এর পিসি কিনতে চান না। মাল্টিকোরে প্রসেসর এর কাজের গতি বেশি থাকে এবং কাজগুলো সুষমভাবে সম্পন্ন হয়। যে প্রসেসররে কোর যত বেশি তার কাজের গতি তত বেশি।
ফ্রন্ট সাইড স্পীড
এফএসবি দ্বারা সিপিউ ও মাদারবোর্ডের চিপসেট ও কম্পোনেন্ট এর যোগাযোগের গতির হার কে বুঝানো হয়। এফএসবি যত বেশি হবে, সিপিউ তত তাড়াতাড়ি মাদারবোর্ড ও অন্যান্য যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। তাই বেশি বাস যুক্ত প্রসেসর এর ক্ষমতা বেশি। বাস স্পিড কে মেগাহার্টজ এককে মাপা হয়।
ক্যাশ মেমোরি
প্রসেসররের
সাথে থাকা মেমোরি কে ক্যাশ মেমরি বলে। প্রসেসর যখন কাজ করে তখন ডাটা এই
মেমোরি তে সংরক্ষিত থাকে। তাই ক্যাশ মেমরি যত বেশি হবে, প্রসেসর তত দ্রুত
কাজ করবে। ক্যাশ মেমরি প্রধানত ৩ রকম। L1, L2, L3.
L1 আকারে ছোট কিন্তু খুব দ্রুত কাজ করে।
L2 মাঝারি আকারের এবং মোটামুটি দ্রুত কাজ করে।
L3 খুব বড় আকারের কিন্তু দ্রুত কাজ করতে পারে না। ইদানীং L4 নামে নতুন একটি মেমোরি বের হয়েছে। ল্যাপটপে L3 মেমোরি ব্যাবহার হয়। প্রসেসররের প্যাকেট/বিবরনিতে ক্যাশ মেমরির নাম ও পরিমান দেয়া থাকে।
L1 আকারে ছোট কিন্তু খুব দ্রুত কাজ করে।
L2 মাঝারি আকারের এবং মোটামুটি দ্রুত কাজ করে।
L3 খুব বড় আকারের কিন্তু দ্রুত কাজ করতে পারে না। ইদানীং L4 নামে নতুন একটি মেমোরি বের হয়েছে। ল্যাপটপে L3 মেমোরি ব্যাবহার হয়। প্রসেসররের প্যাকেট/বিবরনিতে ক্যাশ মেমরির নাম ও পরিমান দেয়া থাকে।
হাইপার থ্রেডিং
হাইপার
থ্রেডিং হচ্ছে ইন্টেল এর একটি যুগান্তকারী আবিস্কার যা সিঙ্গেল কোর কে দুই
কোরের সমান কাজ করার ক্ষমতা দান করে। এএমডির প্রসেসর এ এর নাম হাইপার
ট্রান্সপোর্ট। এই প্রযুক্তির কারনে একসাথে অনেকগুলো কাজ করলেও সিস্টেম এর
গতি ধীর হয় না। হাইপার থ্রেডিং/ট্রান্সপোর্ট সমর্থনকারী প্রসেসর এর ক্ষমতা
সাধারন থেকে ভাল হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন